রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় মোটর ভ্যান চালক শাহীনকে হত্যা চেষ্টা মামলার আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদেরকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর ও সরফাবাদ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সরাফাবাদ গ্রামের আজিজ মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), একই গ্রামের জোহর আলী মোড়লের ছেলে নরিম মোড়ল (৭৮) ও একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে আজগার হোসেন (২৬)।

বুধবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান তার অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামের আলীর মাদ্রাসা পড়ুয়া শাহীনকে গত ২৮ জুন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন ধানদিয়া আমজামতলা নামকস্থানে মাথায় আঘাত কওে তার মোটর চালিত ভ্যানটি ছিনতাই করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ গত পহেলা জুলাই তিনজনকে আটক করে। এদের মধ্যে নাইমুল ইসলাম ওরফে নাঈম মঙ্গলবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো তিনজনের নাম বলেন। সে অনুযায়ি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাহাঙ্গীর মোড়ল, নরীম মোড়ল ও আজগার হোসেনকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।এদের মধ্যে দু’জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে বলে জানিয়েছে। একই ভাবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একব্যক্তি অঅদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে বলে জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন মোবাইল ফোনে পরদিন সকালে যশোরের কেশবপুরে শাহীনকে আসতে বলে বাজিতপুর গ্রামের নাঈমুল ইসলাম। ২৮ জুন শাহীনকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন ধানদিয়া আমজামতলা নামকস্থানে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার মোটর চালিত ভ্যানটি ছিনতাই করে।

ভ্যানের ব্যাটারি ক্রেতা বাকের আলী ও ভ্যান ক্রেতা আরশাদ আলীসহ নাঈমকে পহেলা জুলাই সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। আহত শাহীনকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার যাবতীয় সহযোগিতা করেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রি শাহীনের উপর হামলাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

(আরকে/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৯)