গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পিয়ারাপুর আইজিএম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসির প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায়ের ভিডিও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মামুনুর রশিদকে এ তদন্তের নির্দেশ দেন।

ভিডিওতে দেখা যায়,ওই কেন্দ্রের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার হলরুমে কর্মরত শিক্ষকরা রোলকল করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে তিনশ করে টাকা নিয়ে পরীক্ষার খাতা দিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীরা জানায়, অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া কথা বলে তাদের নিকট থেকে এ অর্থ আদায় করা হয়।

অভিযোগ মতে, উপজেলার শহরগছি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজ, ফুলপুকুরিয়া কলেজ ও গোবিন্দগঞ্জ শামীম এন্ড শাকিল কারিগরি কলেজসহ চারটি কলেজেন প্রায় সাড়ে চারশতাধিক শিক্ষার্থী এ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৫ জন ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৯২ জন। এ ছাড়াও প্রায় ২০ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থীও রয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৫টি বিষয়ে ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২ টি বিষয়ে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। প্রত্যেক বিষয়ে তিনশ টাকা হিসেবে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কলেজের এক সিনিয়র প্রভাষক জানান, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিতে আসা অভ্যন্তরিন ও বহিরাগত শিক্ষকদের সন্মানি না করা যায়, তাহলে ছাত্রদের ফেল করে দেয় তারা। এ কারনে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন বুধবার একটি ভিডিও সহ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মামুনুর রশিদ জানান, তিনি ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।

(এসআরডি/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৯)