জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রী। বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেছে নবীনুর নামে এক বখাটে যুবক। এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২জুলাই) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা।

ধর্ষিতা মেলান্দহের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাশ করেছেন।

মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ৬ মাস আগে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে নবীনুর। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিল। ছাত্রীটি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তালবাহানা শুরু করে নবীনুর। গত ১জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই ইউনয়নের ভালুকা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে এসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষকের হাত থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার ও ধর্ষক নুরনবীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই দিন রাতেই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষিতার বাবা ধর্ষক নুরনবীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক নুরনবীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

(আরআর/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৯)