মদন (নেত্রকোনা) প্রধিনিধি : নেত্রকোনার মদন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরপুর দেওয়ার পাড়ার ওয়াশিদ মিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার মা হোসনা আক্তার বৃহস্পতিবার মদন থানায় ধর্ষক আন্জু মিয়াকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, মদন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভিকটিমের পাশের বাড়ির রাশিদ আলীর ছেলে ৪ সন্তানের জনক আন্জু কসাই(৫০) প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে তার নিজ ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলতে কিশোরীর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। এর পর আরো দু-তিন দিন একই কায়দায় তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার চাচীর কাছে ঘটনা খোলে বলে। পরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে জানান।

পরিবারের লোকজন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মাসুদ রানাকে এ বিষয়টি জানালে তিনি দুই জনকে একত্রে করে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধর্ষক তা অস্বীকার করায় ঘটনাটি জঠিলতার সৃষ্টি হয়। তিনি থানায় অভিযোগ করতে ধর্ষিতার পরিবারকে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে ধর্ষিতার মা হুসনা আক্তার তার মেয়েকে নিয়ে মদন থানায় যান এবং ধর্ষক আন্জু কসাইকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভিকটিমের মা হোসনা আক্তার জানান,আমার মেয়ে কিছু দিন ধরে মাঝে মধ্যে ভমি করছে দেখে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তার তাকে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে জানান। বিষয়টি আমি কমিশনার মাসুদ রানাকে জানালে তিনি মামলা করতে বলেন। আমি বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছি।

অভিযুক্ত কসাইয়ের প্রথম স্ত্রী ঝর্না আক্তার জানান,আমার স্বামী যদি এমন কাজ করে তাকে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হউক।

কমিশনার মাসুদ রানা জানান, এ সংবাদ শোনে আমি ভিকটিম ও ধর্ষক আন্জু মিয়াকে একত্রে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষক তা অস্বীকার করে। পরে থানায় মামলা করার জন্য বলেছি।

ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ধর্ষক আন্জু মিয়াকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

(এএমএ/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৯)