নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই-পতিসর সড়কের উপর নির্মিত কাশিয়াবাড়ি সুইচগেটটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেই মান্ধাত্বার আমলে গেটটি নির্মাণের পর আর কোন সংস্কার না করায় তা এখন পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, আত্রাই-পতিসর একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারিবাড়ি থাকায় সেখানে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীসহ অনেক ভিআইপি লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে সিংড়ার কালীগঞ্জ হয়ে বগুড়া যাতায়াত করেন অনেক লোকজন। এ জন্য এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পণ্যবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, লছিমন, সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন প্রকারের ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। কাশিয়াবাড়ি স্লুইচগেটের পশ্চিমাংশে রাস্তা ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

আবার গেটের মাঝেও ঢালাই ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে যাওয়ায় পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। এদিকে গর্তে পানি জমে থাকার কারণে অনেক যানবাহনও এখানে দুর্ঘটনা শিকার হয়। স্লুইচগেটটির প্রয়োজনীয় সংস্কার না করলে যে কোন সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এদিকে স্লুচগেট ছাড়াও কাশিয়াবাড়ি থেকে মস্কিপুর পর্যন্ত পুরো সড়কের বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করে যানবাহন।

এ সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী সিএনজি চালকদের চেইন মাস্টার রাজু বলেন, প্রায় অর্ধশতাধিক সিএনজি এ সড়কে চলাচল করে। সড়কটি সংস্কারের অভাবে আমাদের চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে সিএনজি চালায়।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জানবক্স সরদার বলেন, সেই ৮০’র দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখানে ১০ গেট বিশিষ্ট দৃশ্যমানের স্লুইচগেট নির্মান করা হয়। সে সময় গেট পাহাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের জন্য গেট সংলগ্ন একটি কোয়াটারও নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে পাহাড়ার লোক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কোয়াটার হয়ে যায় পরিত্যক্ত। গেটও আস্তে আস্তে নড়বড়ে হয়ে যায়। গেটের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করায় এটি সংস্কারের অভাবে অনেকটা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেছি।

(বিএম/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৯)