স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) সক্রিয় থাকায় দেশের দক্ষিণের দুই বিভাগ বরিশাল ও চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

অপরদিকে বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যে ঝোড়ো হওয়ার জন্য তিন সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে।

শনিবার আষাঢ়ের ২২ তারিখ। এবার আষাঢ় আসার পর সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। আষাঢ়ের শেষে এসে সক্রিয় হলো মৌসুমি বায়ু। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন ঢাকাসহ সারা দেশেই বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে।

বৃষ্টি ঝড়ানো উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা, থেকে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও অনেকটাই কমে গেছে। আর কোথাও বইছে না তাপপ্রবাহ।

শনিবার সকালে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।

অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান।

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্ক বার্তায়।

এ ছাড়া শনিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবেচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে, ৮৩ মিলিমিটার। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি ও টেকনাফে, ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৯)