ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় মদিনাতুল আক্তার মোহনা নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ করেছেন শিশুর স্বজন। এ ঘটনায় মৃত শিশুর আত্মীয় স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার রাত আনুমানিক ৯.৪৫ টার দিকে শিশু মৃত্যুর এই ঘটনাটি ঘটেছে। মোহনা ঈশ্বরদী শহরের রহিমপুরস্থ শৈলপাড়ার মিন্টু মির্জার মেয়ে। তবে অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবী করেছেন ওই সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাসনিম তামান্ন স্বর্ণা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাতলা পায়খানা, বমি ও অতিরিক্ত জ্বর নিয়ে শিশু মোহনাকে সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরেতাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর হতেই শিশুটির জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমি বাড়তে থাকে। এসময় বারবার দায়িত্ব নার্সকে ডাকা হলেও চিকিৎসক ছাড়া তাদের কিছু করার নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বর্ণাকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি জরুরী বিভাগে রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন। রাত আনুমানিক ৯.৪৫ দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।

শিশু মোহনার বাবা মিন্টু মির্জা জানান, মেয়েটি বারবার বমি, পায়খানা করছিল। পায়খানার সাথে রক্তও ছিল। চিকিৎসক ও নার্সদের অনুরোধ করেও তারা যথাযথ চিকিৎসা না দেয়ায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেন। সেই সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের তিনি শাস্তি দাবী করেছেন।

ঘটনার সময় দায়িত্বরত (চিকিৎসক) ডাক্তার তাসনিম তামান্না স্বর্ণা মৃত শিশু মোহনার বাবার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, শিশুটি খাদ্যে বিষক্রিয়া জনিত ডায়রিয়ায় ও জ্বরে আক্রান্ত ছিল। তাঁকে সাধ্যমত সকল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় জরূরী বিভাগে আরও বেশ কিছু শিশু ও বয়স্ক রোগী ছিল। তাদের চিকিৎসা প্রদান করার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৯)