গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার একটি বাড়ির সেপটি ট্যাংক থেকে রুপম মিয়া (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কাঠাল লক্ষীপুর গ্রামের একটি বাড়ির সেপটি ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রুপম মিয়া ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সে পলাশবাড়ি সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকাবাসী নিহত রুপমের চাচা আপেল মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আপেল মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকার মানুষ। নিহত রুপমের পরিবারের দাবী, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার চাচা আপেল মিয়া তাকে হত্যা করেছে।

ধাপেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শাহজাহান আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে সেপটি ট্যাংকে তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে সকাল ১১ টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের বাবা নজরুল ইসলামের অভিযোগ রুপম মিয়ার সঙ্গে তার চাচা আপেল মিয়ার পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে আপেল মিয়া তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃতদেহ সেপটি ট্যাংকে রাখে।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

(এইচইবি/এটিঅার/জুলাই ২৯, ২১০৪)