স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্টেফিন মূরমূ এবং অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানকে ৩ লাখ ২৩ হাজার ২’শ ৮০ টাকা আত্বসাতের অভিযোগে আটক করেছে দিনাজপুর দূনীতি দমন কমিশন।

দিনাজপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানায়,স্টেফিস মূরমূ ও মোস্তাফিজুর রহমান যোগ সাজস করে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ৩ লাখ ২৩ হাজার ২৮০ টাকা আত্বসাত করে। আজ সকালে তাদের কে আটক করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ২, তারিখঃ ১০.০৭.২০১৯। ধারা ১৯৭৪ সালের ২ নং দূনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।

আটককূতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সরকার (৫৫) প্রেরণ করা হয়েছে জেল-হাজতে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে তার নিজস্ব কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে দিনাজপুর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশসহ দুদকের একটি দল এ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘুষের নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

দুদক জানায়, পার্বতীপুরের শেখপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে সবুজ ইসলামের কাছ থেকে ঘুষের এই টাকা নিচ্ছিলেন রেজাউল করিম। উপজেলার বড় দল ও খুনিয়ার পুকুর সংস্কারে ৪০ লাখ টাকা বাজেট দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই কাজটি করেন ঠিকাদার সবুজ। তিনি ওই মৎস্য কর্মকর্তার কাছে পুকুর খননের বিল তোলার জন্য যান। সবুজ ইসলামের কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন রেজাউল করিম।

সবুজ তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন। কিšম‘ রেজাউল করিম কিছুতেই বিল ছাড় করছিলেন না। পরে সবুজ যোগাযোগ করেন দুদকে। দুদক ফাঁদ পাতে। দুদকের পরিকল্পনা মাফিক ৫ লাখ টাকার কিছু অংশ ২০ হাজার টাকা দিতে মৎস্য কার্যালয়ে আসেন সবুজ। এসময় দুদকের টিম ওই মৎস্য কর্মকর্তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।

(এসএএস/এসপি/জুলাই ১০, ২০১৯)