সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোণা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর সরাসরি তত্বাবধানে মাত্র ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করে পুলিশ কন্সস্টবল পদে চাকুরি পেল সাইফুল আলম স্বরণ। তার বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং  নওপাড়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে।

স্বরনের বাবা মোঃ শফিকুল আলম পুলিশের এ.এস.আই পদ থেকে অবসরে আছেন। এক ছেলে ও তিন কন্যা শফিকুলের। এর মধ্যে গত ৯ জুলাই রাতে নেত্রকোণা পুলিশ লাইন দরবার হলে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী পুলিশ কন্সস্টবল পদে চুড়ান্ত ভাবে তার নাম ঘোষনা করেন। নাম ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দঅশ্রুতে ভেঙ্গে পড়েন স্বরণ।

বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন মাত্র ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট খরচ করে চাকুরি পেয়েছি। জীবনে এর চেয়ে আনন্দ কী আছে? সাইফুল আলম স্বরণ বলেন আমার বাবা পুলিশের চাকুরি থেকে অবসরে এসেছেন। কিন্তু আমার চাকুরির জন্য বাবা কোন তদবির করেননি।

আমি যেমন আমার মেধা, যোগ্যতা ও বিনা তদবিরে ১০০ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকুরি পেয়েছি আমার মত আরও ৭৪ জন এভাবেই চাকুরি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা পূরণের জন্য পুলিশের আইজিপির নিদের্শে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী আমাদের চাকুরি দিয়েছেন। চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ৯ জুলাই রাতে তিনি আমাদের সকলকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এ সময় তিনি আমাদেরকে শপথ করান যাতে চাকুরি জীবনে আমরা কোন অনিয়ম দুর্নিতির আশ্রয় গ্রহণ না করি। স্বরণ বলেন সেদিনই আমি শপথ গ্রহণ করে বলেছি বিনা টাকা বিনা তদবিরে চাকুরি পেয়ে সৎ ভাবে জীবন যাপন করার ইচ্ছা আরও শক্তিশালী হল। চাকুরি জীবনে বেতন ভাতার বাইরে ১টি টাকাও অনিয়ম করে পকেটে নেব না। স্বরণের বাবা শফিকুল আলম বলেন বর্তমান পুলিশে ধ্যন ধরণা অনেক পাল্টাচ্ছে। যদি চাকুরি নিতে টাকা লাগত, তদবির লাগতো তাহলে আমার ছেলেকে পুলিশের চাকুরী দিতে পারতাম না। মাত্র ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট খরচ করে পুলিশের চাকুরি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সংঙ্গে পুলিশের আইজিপি সহ নেত্রকোণার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১১, ২০১৯)