সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় ১২ নারীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে এজাহার ভূক্ত ২০ আসামী এখন নেত্রকোণা জেলা কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্য থেকে বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, কাউরাট শিমুলাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ব্যবসায়ী আবুল বাশার, দনাচাপুর গ্রামের মৃত সুনিল সরকারের ছেলে বিলাস সরকার, ও মন্দনের ছেলে শ্রী রাজনকে দুই দিনের রিমান্ড চেয়ে নেত্রকোনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য এই চারজনকে আদালতে ২ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। 

এছাড়া মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী শিল্পপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শামিম, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল মোমেন সহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জোর চেষ্টা চলছে।

গত ২৮ জুন সহকারী শিক্ষক পদে নেত্রকোনা জেলা সদরের বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন ফাঁস চক্রটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে সংগ্রহ করে প্রতারনা ও জালিয়াতি করে উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করার কাজে নিয়োজিত ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ কেন্দুয়া পৌর শহরের টেঙ্গুরী ছয়আনি গ্রামের শিল্পপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শামিমের বাড়ির দুতালা থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১টি ব্যাটারি, ২টি মডেম, ৭টি মোবাইল, ১টি চার্জার ও অন্যান্য গাইড বই সহ ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল জব্দ করে।

এসময় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ১২ নারী সহ ৩৪ জনকে আটক করে। এদের মধ্য থেকে প্রশ্ন ফাঁস মামলার মূলহোতা আব্দুল মান্নান ছোটন সহ ৮ জনকে এর আগে ২ দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, এটি একটি আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলা। এই মামলার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে প্রযুক্তিগত সব দিক থেকে তদন্ত চলছে। তাই মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মান্নান ছোটন সহ ৪ জনকে আবারো ২ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। পর্যায়ক্রমে অন্যন্য আসামীদেরও রিমান্ডে আনা হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৯)