স্টাফ রিপোর্টার : এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা দিতে তাদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নিচ্ছে সরকার। সরকারি অন্যসব কর্মচারীদের মতো না দিয়ে তাদের ঈদ বোনাস দেয়া হয় ২৫ শতাংশ। এসব সমস্যা সমাধানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম। আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেয়া শুরু হয়েছে। কেটে নেয়া এ টাকার কোনো হিসাব শিক্ষক সমাজ জানেন না। এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার শাদেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলি আজাদ বলেন, ‘আমাদের মূল বেতন থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা প্রদানের জন্য আগে ৬ শতাংশ বেতন কেটে নেয়া হতো। এখন আমাদের বেতন থেকে ৬ শতাংশের সঙ্গে আরও ৪ শতাংশ যোগ করে মোট ১০ শতাংশ কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের বেতন অনেক কমে যাচ্ছে। যা দিয়ে ঠিক মতো সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন পেলেও আমাদের তা দেয়া হয় না। শিক্ষকদের অবসর জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের পেনশন দেয়া উচিত।’

শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ বেতন সরকারিভাবে পেলেও রয়েছে আকাশ ছোঁয়া বেতন বৈষম্য। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, সারাজীবনে একটিমাত্র টাইমস্কেল, তাও বন্ধ রয়েছে। ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৯)