নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটককৃত লম্পটের জরিমানার ৪৫ হাজার টাকা ১৫ দিনেও পায়নি নির্যাতিত পরিবার। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য শালিসে জরিমানার ৪৫ হাজার টাকা নির্যাতিত নারীকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অজ্ঞাত কারনে গত ১৫ দিনেও এ টাকা হাতে পায়নি ওই পরিবার। তাহলে কার পকেটে গেলো এ টাকা? 

এ ঘটনাটি ঘটেছে, গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের সোমাসপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে কাজিম উদ্দীন(৪৫) তার বাড়িতে প্রতিবেশী মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রীকে ফোনে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ সময় গ্রামবাসী ধর্ষণ চেষ্টাকারীকেসহ ওই নারীকে আটক করে এবং রাতেই এলাকার সমাজকর্মী দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিউর রহমান উজ্জলের নিকট পৌঁছে দেয় তাদের। ঘটনার কয়েক দিন পর বিষয়টি আপোষ মিমাংসার নামে গাহলী মোড়স্থ হাতুড় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিস বাসানো হয়।

শালিসে লম্পট কাজিম উদ্দিনের ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এ টাকা নির্যাতিত ওই নারীকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অজ্ঞাত কারনে এ টাকার মধ্যে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়া হয় নির্যাতিত নারীকে। এর সত্যতা স্বীকার করে শালিসে উপস্থিত দুলাল হোসেন বলেন ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে ওই পরিবারকে।

তবে নির্যাতিত পরিবারের লোকজন জানায়, টাকা পরে দিবে বলে ইউপি সদস্য বলেছেন। জরিমানার অতিরিক্ত টাকা কার পকেটে গেলো এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে বিভিন্ন মহলে। এ ব্যপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(বিএম/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৯)