স্টাফ রিপোর্টার : দেশের রাজস্ব বাড়াতে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘ডিসিদের প্রস্তাব ছিল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা, ডিসি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিয়ে। তাহলে তারা আয়কর বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন। রাজস্ব বোর্ড এটা ভালো প্রস্তাব বলে মনে করে। তবে প্রস্তাবের ভেতরে ডিটেইলস কী আছে আগে সেটা তাদের জানা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগের প্রস্তাব সরকারের কাছে আছে। প্রস্তাবটি হলো তাদের কর্মকর্তা বাড়ানো এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে তাদের অফিসার নিয়োগ করা। এই দুটির সঙ্গে একটি সমন্বয় করা প্রয়োজন হবে। সে মুহূর্তে তারা এই বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করতে পারবেন।’

ডিসিরা এক কোটি টাকা করে বরাদ্দ ও একটি ব্যাংক চেয়েছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আজকের আলোচনায় আসেনি, গতকালই তারা এটি চেয়েছে। প্রস্তাবটা সরকারি নথিতে আসবে, এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।’

মসিউর রহমান বলেন, ‘ডিসিরা যে সকল বিষয় উত্থাপন করেছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই হলো ঋণ ও সরকারের ব্যয় বরাদ্দ কীভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায় এবং দ্রুত দক্ষতার সঙ্গে বিতরণ করা যায় সে বিষয়ে। এর সবগুলো করা সম্ভব। তবে কিছু করা সম্ভব নয়, বাজেট নিয়ে সমস্যা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি করর্মকর্তারা মানুষের প্রতি যে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তা প্রশংসনীয় ও ব্যবহারের নতুন দিক। মানুষের কল্যাণের জন্য নিয়মকানুন বাধা হয়ে দাঁড়ালে তা পরীক্ষা করা ও যতদূর সম্ভব পরিবর্তন হওয়া দরকার।’

ডিসিরা ঋণ প্রদান বিষয়াদি সহজ করার জন্য বলেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে যে বরাদ্দ থাকে, ব্রাঞ্চ সেই ঋণ দিতে পারে না। নারীরা অনেক সময় শর্ত পূরণ করতে পারেন না। গরিব নারীদের অনেকের জমি নেই, থাকলেও বাবা, মা, স্বামী, ভাইয়ের সমর্থন ছাড়া কিছু করতে পারে না। ফলে এই ক্ষুদ্রঋণ দিতে সমস্যা হয়। এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অনেক তথ্য দিতে হয়। ডিসিদের প্রস্তাব হলো সেগুলো যদি সহজ করা যায়।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৯)