আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কচু চাষে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন। কচু এমন একটি সবজি যার লতি, ডাটা, কচুপাতা ও মোচা সমাজের প্রতিটি মানুষের একটি সুষম ও পুষ্টিভরপুর খাবার সবজি। কম খরচে বেশি লাভ তাই কৃষকরা ব্যবসায়ীক ভাবে কচুচাষ শুরু করেছেন। বাজারে অন্যান্য সাক-সবজির সাথে সমান তালে কচু বিক্রি হয়। চিকিৎসকদের মতে শারীরিক দূর্বলতা কিংবা যে কোন ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে এই কচু শাক খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। গ্রামাঞ্চলে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া প্রসুতি মায়েরা তাদের স্বাস্থ্য পুনঃ উদ্ধারের জন্য কচু শাক খেয়ে থাকেন। কচু শাকে সকল প্রকার ভিটামিন বিদ্যমান থাকায় এটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর ও হজম শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গ্রামাঞ্চলে সর্বত্রই ইলিশ মাছ ও ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু ঘাটি আজও সমাদৃত রয়েছে।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে ব্যবসায়ীক ভাবে মুখিকচু ও গোড়া কচুর আবাদ করা হয়েছে। বাজারে কচুর নানী ও কচুবৈ হিসাবে মুখিকচু হিসাবে আর কচুর মোচা লতি, ডাটা ও পাতা গোড়াকচু হিসাবে বিক্রি হয়ে থাকে। পঁচনশীল নয় ও কচু উৎপাদনে খরচ অনেক কম অথচ লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন কচুচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কচু আবাদে তেমন পোকাপাকড়ের আক্রমন হয়না বলে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনা। গোড়া কচুচাষী লিটন জানায়, তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাড়ীর নিকট ১০শতক জমি পত্তন নিয়ে তাতে গোড়াকচু চাষ শুরু করেন। এই জমিতে প্রতি বছর কচুচাষে লাগানো পরিপর্যাসহ অন্যান্য খরচ হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। আর কচু পরিপক্ক হওয়ার পর পর্যাযক্রমে বিক্রি হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়ীর পরিত্যক্ত জায়গায় কৃষকরা নিজের প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রজাতির কচু আবাদ করে থাকেন। এসব কচু আবাদে কোন খরচ হয়না। বার মাস বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে কচু খাওযা হয়ে থাকে। এছাড়াও জমিতে কচুবৈ চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে। বর্তমান হাটবাজারে কচুবৈ প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

(এস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৯)