স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে বিচারকের সামনেই ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যুর পর এবার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে আসা এক আসামি বাদীপক্ষের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।

মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল আউয়াল মারামারি থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে আইনজীবীরা বাদীপক্ষের একজনকে আটক করেন।

আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বাজিতপুরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান। গত ৯ মে বাজিতপুরের মজুমদার বাজার এলাকায় সোহেল হাওলাদার (৩২) নামে এক মুরগি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীকে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে রাজৈর থানায় মামলা করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

মঙ্গলবার সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় আগাম জামিন নিতে আসেন হাইকোর্টে। তিনি আগাম জামিনও পান। বেলা ১টা ১০ মিনিটে সিরাজুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় বাদীপক্ষের জুয়েল বাচ্চুসহ অন্যরা। সিরাজুলকে বাঁচাতে তার আইনজীবী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট বারের কক্ষে বসা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতে জামিন পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি (বার) ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে আমার ওপর হামলা করেছে বাদীপক্ষ। আমাকে কিল-ঘুষি মারে তারা।

সমিতির সূত্র জানায়, এ ঘটনায় জুয়েল নামে হামলাকারী এক যুবককে আটক করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন এ ঘটনায় সিদ্ধান্ত নিতে ইউপি চেয়ারম্যান, আইনজীবী আবদুল আউয়াল ও হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ জুলাই) কুমিল্লা আদালতে হত্যা মামলার এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। কুমিল্লার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহত যুবকের নাম ফারুক হোসেন (২৭)।

অভিযুক্ত আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত ফারুক লাকসাম উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। আবুল হাসান একই গ্রামের শহিদুল্লার ছেলে।

এ ঘটনায় দেশের সকল আদালত অঙ্গন ও বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এক আইনজীবী।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৯)