দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : হাটু কাদায় একাকার পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরীঘাটে যাত্রী দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ৬দিনের টানা বৃষ্টিতে ফেরীঘাট এলাকার একবর্গ কি.মিটার জুড়ে হাটু কাদা পরিপূর্ণ হওয়ায় যানবাহন চলাচলে এমন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দূর-পাল্লার ও আভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন সিএনজি, অটোবাইক, মোটরবাইক যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচলে অন্তহীণ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরেজমিন লেবুখালী ফেরীঘাট পরিদর্শণে গিয়ে এমন দুর্ভোগের বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর উভয় তীরে ফেরীঘাট থেকে প্রায় ১কি.মিটার জুড়ে হাটু পরিমান কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। হাটুকাদা পেড়িয়ে পায়ে হেটে বা যানবাহনে চড়ে যাত্রীদের ঘাটে পৌছে ফেরী পারাপার হতে হয়। হাটুকাদা অতিক্রমের উটকো বিড়ম্বণার শিকার হতে হয় যানবাহন ও যাত্রীদের। বিশেষত: পায়ে হেটে চলা পথচারী বৃদ্ধ ও শিশুদের কস্ট বেড়েছে কয়েকগুণ।

ফেরীঘাটের ব্যবসায়ী আবদুল জলিল ফরাজী বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে ঘাটের উভয় তীরের রাস্তা কাদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এ কাদা-পানির বিড়ম্বণা সহ্য করেই এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারী ও দূর-দুরান্তের যাত্রী সাধারণকে ফেরীঘাট অতিক্রম করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর মাটি খোঁরাখুঁরিতে যত্রতত্র মাটির স্তুপ একটানা বৃষ্টির পনিতে কাদা হয়ে ছড়িয়ে ঘাটের এমন দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাষ্টার আলমগীর হোসেন বলেন, মাটি-কাদায় সয়লাব থাকায় ফেরীঘাট এলাকায় জনচলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ বেড়েছে। হাটুকাদা মাড়িয়ে যাত্রী সাধারণকে ঘাটে যাতায়ত করতে হচ্ছে। নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে কেউ হাটুকাদা পেরিয়ে ঘাটে আসছেন না। যানবাহনের যাত্রীরাও ফেরীঘাটে নামতে পারছেন না। এতে ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রিতেও ধ্বস নেমেছে।

ফেরীঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মূছা ফরাজী, আবদুর রশিদ প্যাদা, জাকির হোসেন মোল্লা, মনির হোসেন আকনসহ অনেকের দাবি, নির্মানাধীন পায়রা সেতুর গোড়া থেকে ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১কি.মিটার জুড়ে হাটুকাদায় সয়লাব থাকায় ফেরীঘাটের ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

ফেরীঘাটের দায়িত্বরত ফেরী সুপার ভাইজার আবদুল কুদ্দুস বলেন, নির্মাণাধীণ পায়রা সেতুর গার্ডার পাইল করতে গিয়ে এ্যাপ্রোজ সড়কের ওপর মাটির স্তুপ থেকে কাদা ছড়িয়ে ঘাটের এমন দুরাবস্থা হয়েছে। ব্রিজের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কমলে রৌদ্রে শুকিয়ে গেলে আর তেমন কোন অসুবিধা থাকবে না।

(এস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৯)