জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। গত সকল বন্যার রেকর্ড ব্রেক করেছে এবারের বন্যা।  ২০১৭ সালের বন্যায় যমুনায় বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এটিই ছিল বন্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড। 

মঙ্গলবার দুপুরে যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৭ উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৭টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়ে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা কবলিত ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চরের মালমারা গ্রামে পানিতে ডুবে আব্দুল্লাহ নামে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ। রেল লাইনের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ২৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ত্রানের জন্য বন্যার্তরা দ্বিগবিদিগ ছুটাছুটি করছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষেরা বলছেন তাদের কাছে এখনো ত্রান সামগ্রী পৌঁছায়নি। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলছেন বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যার চেয়ে ত্রানের বরাদ্ধ কম হওয়ায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।

বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী।

(আরআর/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৯)