পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস সময় মেনে অফিস করার কথা বলায় বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরনের অভিযোগ। উল্টো কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভাগ পরিবর্তনের জন্য রেজিস্টার বরাবর আবেদন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) পাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার বরাবর এই আবেদন করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার ফিরোজ জামান বিশ্বাস, টেকনিক্যাল অফিসার আশরাফুল ইসলাম, সিনিয়র র‌্যাব সহকারী শেখ মাহমুদ কানন, সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামান ও অফিস সহায়ক নিপেন চন্দ্র ঘোষ।

এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলির জন্যে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছি। আমরা মনে করছি আমাদের চেয়ে ভালো কর্মকর্তা-কর্মচারী এ বিভাগ পাবে।

এ ব্যাপারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার চৌধুরী, আতিকুর রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আফতাবুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কমিটির সভায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস সময় মেনে (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত) অফিস ও ল্যাবে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া আলোচনায় বিভাগের সবার মাঝে যাতে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সে বিষয়ে বলা হয়। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারী আলোচনার কথা শুনে অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস ও ল্যাবে ঠিকমত পাওয়া যায় না। তাদের কিছু বললেই আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ বিষয়ে অনেকবার বিভাগের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাই নাই।

এ ব্যাপারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রক্টর প্রতীম কুমার দাস বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের সাথে ভালো আচরন করেন না, তাদের অফিস ও ল্যাবে ঠিকমত পাওয়া যায়না।

এছাড়া একই অভিযোগ করেন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও। সেই কারণে আমার সভাপতিত্বে একাডেমিক কমিটির সভায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস সময়ে মেনে অফিস ও ল্যাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বিভাগের সবার মাঝে যাতে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সে বিষয়ে আলোচনাও হয়। এ বিষয় নিয়ে তারা একযোগে বিভাগের কোন শিক্ষককে না জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি প্রদান করে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য।

(পিএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৯)