বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বগী এলাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। বেড়িবাঁধ নির্মানে নদী থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুরত্ব রেখে জমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম শুরু করায় দেড় কিলোমিটার এলাকার প্রায় ৩০০বিঘা ফসলী জমি ও ২৫০টি পরিবার থেকে যাচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশসকসহ পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভূক্তভোগীরা। 

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে নির্মানাধীন শরণখোলায় ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে দেড় কিলোমিটার পুরনো বাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। একারণে ওই এলাকার নদী শাসন করে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মানে জমি অধিগ্রহনের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভূক্তভোগীদের পক্ষে মো. ছত্তার হাওলাদার, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আকরাম হোসেন, মো. আনোয়ার খলিফা, সোবাহান হাওলাদার, মো. শফিজদ্দিন জানান, স্থানীয় বাবুল হাওলাদার নামের এক দালালের মাধ্যমে বাগেরহাট ভূমি অধিগ্রহন শাখার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের ইচ্ছেমতো বলেশ্বর নদী থেকে বগী বন্দর এলাকায় ১১০০ ফুট, বগী সাতঘর এলাকায় ৮০০ফুট ও বগী দশঘর এলাকায় ১১০০ফুট বাঁধের বাইরে রেখে সীমানা নির্ধারণ করেন। অথচ, পার্শ্ববর্তী তাফালবাড়ী খালের গোড়া থেকে দক্ষিণ সাউথখালীর গাবতলা স্লুাইসগেট পর্যন্ত নদী থেকে ২০০ফুটেরও কম দুরত্বে বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। তাদের দাবি, বগী এলাকাতেও নদী শাসন করে ২০০ফুট দুরত্বে বাঁধ নির্মান করা হলে শত শত বিঘা ফসলী জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে।

এ ব্যাপারে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যোন মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন যাতে না করা হয় সে ব্যাপারে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।

প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, বগী এলাকাটি ভাঙন প্রবন তাই যেখান থেকে বাঁধ নির্মান করা হলে টেকসই হবে সেখান থেকেই জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া, নদী শাসনের বিষয়টিও প্রকৃয়াধীন রয়েছে।

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) দেব প্রসাদ পাল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথ সভা করে এলাকাবাসীর স্বার্থে দ্রুত বাঁধ নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু করা হয়েছে। অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহনের বিষয়টি সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৯)