রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোবাইল ফোনে ডেকে এসে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত যুবলীগ কর্মীর নাম মোঃ উজ্জল হোসেন (২৪)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের জাকির হোসেন বাবলুর ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ডের এস-০৬ শয্যায় চিকিৎসাধীন উজ্জল হোসেন জানান, এক সময় তিনি বর্তমান পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সুলতান মিলনের সঙ্গে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। সংগ্রাম টাওয়ারে চাকুরির সুবাদে যুবলীগ নেতা তুহিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন মিলন। এরই জের ধরে বৃহষ্পতিবার রাত আটটার দিকে মোবাইল ফোনে সঙ্গীতা সিনেমার সামনে আসতে বলেন মোটর শ্রমিক লীগের সদস্য শাহীনুর।

সেখানে আসা মাত্রই মিলন, শাহীনুর, পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে সাকিব হত্যা মামলার আসামী রায়হান,সিরাজুল, রমজান, শাহীন ও হাফিজসহ দা ও লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। চলে যাওয়ার আগে তারা বলে যায়, তারা মান্নান ভাইয়ের লোক। পারলে মামলা করিস। এরপরপরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার ডান হাতে ১৭টি ও মাথায় দু’ টি সেলাই দিতে হয়েছে।

জানতে চাইলে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সুলতান মিলন নিজেকে উজ্জলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৯)