নওগাঁ প্রতিনিধি : দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর নওগাঁ জেলা যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুলাই স্থানীয় নওযোয়ান মাঠে। এ উপলক্ষে চলছে পান্ডেল নির্মানের কাজ। কাউন্সিলকে ঘিরে নড়েচরে বসেছে জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। নাড়া দিয়েছে মূল দলকেও। অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা জেলা।

নওগাঁ জেলা যুবলীগের সবশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালে। এরপর মাঝে ২০১৩ সালে ৩ মাস মেয়াদী ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। নানা কারণে প্রায় ৬ বছর সেই আহবায়ক কমিটিই বলবৎ রয়েছে নওগাঁ জেলা যুবলীগের। তবে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা আর জড়তা কাটিয়ে আগামী ২৫ জুলাইয়ের কাউন্সিলের নির্দেশনা থাকায় এবং সিদ্ধান্ত হওয়ায় কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল নেতা-কর্মী। কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারান সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং নওগাঁ জেলার ৬ জন সংসদ সদস্য। কাউন্সিলের দিনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রিয় যুলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসিম পাভেল।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা যুবলীগের মোট ১২ টি কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে ১১ উপজেলায় ১১ টি ও নওগাঁ পৌর কমিটি ১ টি। তবে মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় এখনও আহবায়ক কমিটি রয়েছে। প্রতিটি কমিটি থেকে ২৫ জন কাউন্সিলর তাঁদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। এছাড়া বর্তমান আহবায়ক কমিটির ৩১ জনও ভোটাধিকার পাবেন। তবে এঁদের মধ্যে ২ জন অন্য উপজেলা কমিটিতে থাকায় তাঁরা আহবায়ক কমিটির কাউন্সিলর হিসেবে ভোট দিতে পারবেননা।

ফলে মোট কাউন্সিলর সংখ্য দাঁড়িয়েছে ৩২৯ জন। জেলা যুলীগের সভাপতি পদপ্রার্থি হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন জেলা যুবলীগের বর্তমান আহবায়ক নওগাঁ এ্যাডভোকেট বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোদাদাদ খান পিটু, নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক এবং নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রি’র সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য ডি.এম আব্দুল আউয়াল আতা, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস, আহবায়ক কমিটির সদস্য আ.ক.ম আতিকুজ্জামান স্বাধীন, আহবায়ক কমিটির সদস্য রাজেশ মজুমদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তোতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মুশফিকুর রহমান তোতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিমান কুমার রায় ও নওগাঁ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী।

বর্তমান যুবলীগের জেলা কমিটির আহবায়ক জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাডভোকেট খোদাদাদখান পিটু বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসেছি। আমার রাজনৈতিক দিক লক্ষ্য করলে কাউন্সিলররা অবশ্যই আমার বিষয়ে বিবেচনা করবেন এটা আমার বিশ্বাস।

আলহাজ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনিও এবার নওগাঁ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। তিনি বলেন যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। কাউন্সিলররা যদি সাংগঠনিক ভাবে বিষয়টি বিবেচনা করেন, তবে আমার বিষয়টি আমি নিশ্চিত মনে করি।

নওগাঁ চেম্বার আব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি নওগাঁ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, জেলা যুবলীগের তৃনমূল নেতা কর্মীরা পরিবর্তন চান। আমি এই পদে নির্বাচিত হতে পারলে জেলা যুবলীগের দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের স্থবিরতাকে সচল করে জেলা যুবলীগকে কার্যকর করে তুলবো। আগামীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে জেলা যুবলীগ যাতে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব। আমি জানি কাউন্সিলররা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

(বিএম/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৯)