জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে যমুনার পানি কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরাম, দশানীসহ সব নদনদীর পানি। যমুনার পানি আজ শনিবার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী।

জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, জামালপুর সদর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার মোট ৬১ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দি। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যার্ত মানুষজন। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্য সংকট। বিশেষ করে চরম বিপাকে রয়েছে নারী ও শিশুরা। বন্যা কবলিত এলাকার বেশিরভাগ সড়ক ও রেললাইন ডুবে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

শনিবার বকশীগঞ্জ উপজেলার কৌশল নগরে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে রাহাত মিয়া (৬) নামে এক শিশু। একই উপজেলার ঝালুরচরে সাপের কামড়ে মারা গেছে রাজা বাদশা নামে এক ব্যক্তি। অপরদিকে, জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা কামালখান মোড় এলাকায় রমজান আলীর ৮ বছরের শিশু পুত্র সজিব বন্যার পানি দেখতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা করেছে স্থানীয়রা।

জামালপুর সদরের কেন্দুয়া কালিবাড়ি পন্ডিতপাড়া এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সরিষাবাড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বকশীগঞ্জের বড়ইতারী সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

(আরআর/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৯)