স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী মনিজা আক্তার মিতুর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ জুলাই ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফল প্রকাশে লম্বা সময় ব্যয় করা হচ্ছে, ভালো পরীক্ষা দিলেও উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর দেয়া হচ্ছে না, ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের ফেল করানো হচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই। ঢাবি কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে সাত কলেজ শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে আত্মহত্যা করেন ঢাবি অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী মনিজা আক্তার মিতু। এর দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলক্ষেতে সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর পর্যন্ত চলে তাদের আন্দোলন। এরপর তিন-দফা দাবি ঘোষণা করে আগামী সাত দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

দাবিগুলো হচ্ছে- নিহত ছাত্রী মিতুর একাডেমিক ও পরীক্ষার সকল কাগজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিতুর আত্মহত্যার কারণ উদঘাটন করতে হবে ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আর যাতে কেউ এমন হতাশাগ্রস্ত না হয় সে জন্য সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে আত্মহত্যা করেন ঢাবি অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী মনিজা আক্তার মিতু। তিনি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মহিউদ্দিন মাস্টার ও সালমা বেগমের মেয়ে তিনি।

বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন মিতু। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ফলে তিন বিষয়ে ফেল করে মিতু। যা মেনে নিতে না পেরে গত ১৬ জুলাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৯)