মানিক সরকার মানিক, রংপুর : রংপুরের কাঁচা বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক ঝাঁজ বেড়েছে। বেড়েছে অন্যান্য শাক সবজির ঝাঁজও। প্রায় সব কাচাঁ শাক সবজির কেজিতে দাম রেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। মাত্র ক’দিন আগেও যে কাঁচা মরিচের দাম নেমে এসেছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, সেই কাঁচা মরিচের বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি দরে। যা র্সবকালের রেকর্ড। বিক্রেতারা এজন্য বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকাকে দায়ি করছেন। আর ক্রেতারা বলেছেন, এসব স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের কারসাজি। কারণ, দু’চার/ পাঁচ দিনের বেশি পরিমাণ মাল তাদের মুজদ থাকে।

গত দু’দিনে নগরীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল, কচুর বৈ, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঢেড়স. কঁচু করলাসহ প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে রংপুরের বাজাওে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কঁচুর বৈ, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ছোট একটি পানি কুমড়া প্রতিপিস ৪০ টাক, তবে দাম সহনীয় রয়েছে আলুর। এ অঞ্চলের বিখ্যাত আলু শিলবিলাতি এখনও কেজি প্রতি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৩৬ টাকায়। আর কার্ডিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ কেজি দরে। গত কয়েকদিন আগেও যে পেয়াজ বিক্রি করেছে ৪০ টকা দওে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকায়।

আর নিম্নমানের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার স্থলে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ টাকায়। শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণেই বাজারে খাদ্য সামগ্রির এই মূল্যবৃদ্ধি বলেই দাবি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন আড়তদার বা পাইকারী বিক্রেতারা দাম বাড়াতে আমরা কী করবো? ব্যবসায়ীরা বলছেন. দেশে সবজির বড় মোকাম উত্তারাঞ্চল। আর উত্তাঞ্চলের বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা,লালমণিরজাট, নীলফামারীর পাশাপাশি জামালপুরসহ দেশের অনেক জেলা এখন বন্যা কবলিত। ফলে চাহিদামগ পন্য সরবরাহ নেই। এজন্য দাম চড়া।

মাছেরও। দেশি মাছের দাম কেজিতে সবর্চ্চো দেড়’শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোয়া মাছ ৬’শ টাকা, পুটি ৫’শ, মিং ৪৫০ থেকে ৬’শ. মাগুর ৬’শ, রুই প্রকার ভেদে ৩’শ, থেকে ৭’শ পাঙ্গাস ১৮০. দেশি চিংরি ৬’ থেকে ৮’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

(এম/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৯)