সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : গলাকাটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে সর্বত্র। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিছক গুজব বলে প্রচার করলেও মানুষের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেত্রকোণায় একটি শিশুর মাথা নেশাগ্রস্ত এক ব্যক্তির ব্যাগে পাওয়ার পর থেকেই এ গলাকাটা আতঙ্ক সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। এই আতঙ্কে কেন্দুয়া উপজেলার ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকার কিন্ডার গার্টেন গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কমেছে।

উত্তর কেন্দুয়া ক্লাস্টার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার মিল্কী জানান, নেত্রকোণায় গলা কাটা শিশুর খবর প্রচারের পর থেকে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমেগেছে। আমরা ছাত্র অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে গুজব বলে প্রচার করলেও তারা এক ধরনের আতঙ্কের মাঝে আছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ছেলে ধরা সন্ধেহে গাজিপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে রিপন চন্দ্র দাসকে (৩৫) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আশুজিয়া বাজার থেকে ছেলে ধরা সন্দেহে তাকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তবে তাকে পাগল প্রকৃতির বলে দাবী করেন, থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা পুলিশের এ.এস.আই বিল্লাল হোসেন।

কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, গলা কাটা ও ছেলেধরা আতঙ্কের খবরটি সব জায়গায় ছড়িয়ে পরেছে। এটি গুজব বলে প্রচার করলেও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি অনেক কমেছে। আমরা এ বিষয়ে সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৯)