স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের পাগলা থানায় অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলেন পাগলা থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি তদন্ত) ফায়েজুর রহমান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় মৌসুমী আক্তার ও তার দ্বিতীয় স্বামী রেজাউল করিম রাজুকে গ্রেফতার করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। 

জানা যায়, গত ১৬ জুন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পায়েসের সাথে অতিমাত্রায় ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে গলায় রশি পেচিয়ে শ্রীপুর থানার বরমী এলাকার ভাড়া বাসায় অবৈধ সম্পর্কের জেরে নূরুল ইসলামকে শ্বাস রুধে হত্যা করেন মৌসুমী ও তার স্বামী রাজু এবং তাদের দোকানের কর্মচারী হাসিব। পরবর্তীত্বে রাজু গ্যাস সিলিন্ডার বিপনন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গাড়ী করে নূরুল হকের লাশটি বস্তায় ভরে বরমী থেকে পাগলা থানার জয়ধরখালী গ্রামের ময়না ফকিরের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ঝোপে ফেলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বাদী হয়ে গত ১৮ জুন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-১৬।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৮ জুলাই সন্ধায় সিডস্টোর নামকস্থান থেকে তথ্যপ্রযোক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রেজাউল করিম রাজুকে গ্রেফতার করে পাগলা থানা পুলিশ এবং বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই ভালুকা থানার সিডস্টোর এলাকা থেকে মৌসুমী আক্তারকে আটক করেন পাগলা থানা পুলিশ। আটকের পর পুলিশ হেফাজতে নুরুল হককে হত্যারদ্বায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ১৬১ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করেন।

চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনকারী তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক ফায়েজুর রহমান এ প্রতিবেককে বলেন, আটককৃত আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন। পুলিশের নিকট স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছেন এবং আটককৃত আসামি রেজাউল করিম রাজু বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছেন। পাশাপাশি মৌসুমী আক্তারকে শিঘ্রই বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান।

স্বল্প সময়ে অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে অভিনন্দন জানায়। পাশাপাশি নৃশংস হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবী জানান।

(জেসিজি/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৯)