ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর ঢুলটিতে সেতু ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে রবিবার গভীর রাতে  হাত-পা বেঁধে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সেতুর গোঙ্গানিতে পার্শ্ববর্তী ও পথচারীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এসে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় সেতুকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। সোমবার দুপুর ১.১৫ পর্যন্ত সেতু হাসপাতালে সঙ্গাহীন রয়েছে। সেতু ঢুলটির মৃত আব্দুল গরুর প্রামাণিকের ছেলে।

এলাকাবাসী জানায়, রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের পুত্র রতন ও তার কয়েকজন সঙ্গি সেতুকে ঈশ্বরদী-পাবনা সড়কের মল্লিক এ্যাগ্রোফুডের সামনে হতে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে রাস্তার পাশে সিএনজি রেখে ঢুলটিতে রতনদের ধান চাতালের গুদামে সেতুর হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে মারতে থাকে। সেতুর গোঙ্গানির শব্দ শুনে রাত সাড়ে বারোটার দিকে পথচারীরা চাতালের ভেতরে গেলে রতনরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সেতুকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। গুরুতর আহত ও সঙ্গাহীন অবস্থায় হাসপাতালে রাতেই ভর্তি করা হয়। সেতু বিবাহিত এবং তার একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

এঘটনায় সেতুর মা শাহিদা বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, সেতুকে হত্যা করে সিএনজিতে নিয়ে লাশ গুম করার উদ্দেশ্য ছিল। ঘটনার পর হতে রতন ও তার সহযোগীরা পলাতক। এ ঘটনায় রতনের পিতা আব্দুর রহমানকে রাতেই গ্রেফতার করা হলেও অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৯)