নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে রবিবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত ৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০টি, মাদরাসা ০৪টি, কলেজ ২টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৬টি।

এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পাইকশা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতিমধ্যে পানির তোড়ে ভেঙে যমুনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন হুমকীতে রয়েছে।

এদিকে সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কোন নির্দেশ নানা থাকায় অভিভাবকরা উভয় সংকটে পড়েছেন। তারা তাদের কোমলমতি সন্তানদের দুঃশ্চিন্তা নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। যে সকল বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেনি সেখানেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। কারণ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বন্যার পানি অতিক্রম করে আসতে হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.মনিরুজ্জামান মিয়া জানান, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের মধ্যে ১৬টিতে বন্যারপানি উঠেছে। এরমধ্যে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা ও ২টি কলেজের মাঠে ও শ্রেণী কক্ষে বন্যার পানি ঢুকে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিমা আক্তার জানান, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫৩টি। এরমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৭৬টি। আর নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১টি। এখনও ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে সকল বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে বন্যার পানি ঢুকেছে সেখানে বিদ্যালয়সংলগ্ন উঁচু বাড়িতে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।

(আরএসআর/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৯)