স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয়করণের দাবিতে টানা ৩৬ দিন অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রতীকী অনশনের পর আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ২৪৬ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে; যাদের একজন মারাও গেছেন।

যিনি মারা গেছেন সেই জাকির হোসেন মল্লিক ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বেসরকারি হাটঘাটা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. কামাল হোসেন এবং সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন রবিবার (২১ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা লীলা রানী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সব উপজেলা ও জেলায় অবস্থিত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘২০১২ সালের ২৭ মের আগে যেসব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। তাই বাংলাদেশে আজ থেকে কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না এবং ৩ ধাপে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে।’

কিন্তু মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এ বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে। তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া এসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন লীলা রানী।

গত ১৬ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা। ২৮ জুন পর্যন্ত টানা অবস্থান ধর্মঘট করেন। এরপর ২৯ জুন প্রতীকী অনশন করেন তারা। এরপর ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত অনশন করেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এ শিক্ষকরা। এত কিছুর পরও তাদের জাতীয়করণের দাবি মেনে নেয়ায় ৩ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত আমরণ অনশন করছেন তারা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৯)