রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদ্দাম কয়েকদিন ধরে ঘুরছেন জন্মনিবন্ধনে থাকা ভুল সংশোধনের জন্য। একইভাবে আরেক চাকরী প্রত্যাশী ফারুক ঘুরছেন নাগরিক সনদ পত্র নিতে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ব্যক্তিরা পৌরসভায় এসে এসে ঘুরে যাচ্ছেন বিভিন্ন সেবার জন্য। কিন্তু না সরকারীভাবে অফিস খোলা থাকার দিনেও পৌরসভার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগানো দেখে সবাই চলে যাচ্ছেন তাদের কাঙ্খিত সেবাটি না পেয়ে। আর ক্ষোভ ছাড়ছেন ব্যবাস্থাপনার উপর।

আর এর কারণ হিসাবে জানা গেছে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবী আদায়ের লক্ষে অবস্থান র্ধমগটের কারণে বাংলাদেশেরে সকল পৌর সভার সাথে ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভা একাতত্বা প্রকাশ করে বন্ধ রেখেছেন পৌরসভার সমস্ত কার্যক্রম। তাই পৌরসভা এক ধরনের অচল হয়ে পড়েছে এতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে পৌরবাসী।

কথা হয় পৌর সভার প্রধান সহকারী ডালিম শেখের সাথে তিনি বলেন,আমরা পৌর সভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারের শহরের অংশের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখলেও আমরা ঠিকমত আমাদের পারিশ্রমিক কিংবা বেতন পায় না।

কখনো ১ বছর কখনো দুই বছর পর কয়েকমাসের বেতন পাই এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ১৬ মাস যাবৎ বেতন পাই না। এভাবে চাকরীর নামে আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি আর খেলতে দেওয়া হবে না। তাই আমরা বাংলাদেশ পৌর এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে বেতন ভাতা প্রদানের দাবী দীর্ঘ দিন যাবৎ জানিয়ে আসছি কিন্তু সরকার তাতে সারা না দেওয়ায় আমরা সকল পৌরসভার কার্যক্রম অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে রেখেছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসুচি চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

উল্লেখ্য গত ১৪জুলাই থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে বেতন প্রদানের দাবী নিয়ে সমগ্রহ পৌরসভার কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থান ধর্মগট কর্মসুচি পালন করে চলছে।

(কেএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৯)