গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে থাকলেও পানি উন্নয়নের বোর্ডের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় কবলিত এলাকাগুলিতে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। 

৪ দিনের ব্যবধানে বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে গতকাল রবিবার মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িঁয়েছে ৫ জনে।

বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন সর্ম্পূণভাবে বন্যার পানিতে কবলিত হয়েছে। কবলিত ইউনিয়নগুলির অধিকাংশ রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীও প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।সেই সাথে অর্ধশতাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এসব এলাকার লোকজন জানিয়েছেন নদী ভাঙ্গনে বেশ কিছু বসতবাড়িসহ শতশত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় প্লাবিত এলাকায় আমন বীজতলা, রবি ফসলসহ পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার পৌরশহর, নাকাইহাট, হরিরামপুর, শিবপুর, কোচাশহর, মহিমাগঞ্জ, শালমারা, তালুককানুপুর, সাপমারা, গুমানীগঞ্জ ও ফুলবাড়ী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকতে শুরু করেছে, কিন্তু বন্যা দুর্গত এলাকাগুলিতে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে গো-খাদ্য তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় গোবাদি পশু নিয়ে র্দুচিন্তায় পড়েছে।

দুর্গত এলাকার বানভাসিদের মাঝে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী অফিসার রাম কৃষ্ণন বর্মনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছেন। কিন্তু বানভাসিদের অভিযোগ চাহিদার তুলনায় ত্রাণ বিতরণ অপুতল। বানের পানি ধীরগতিতে কমতে থাকায় মানুষের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

এ দিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে শিশুসহ ৫ জন। নিহতরা হলেন হরিরামপুর ইউপির কিশমত দুর্গাপুর গ্রামের মৃত্যু কছির বকসের পুত্র ছলেমান, মহিমাগঞ্জের চিনিকল শ্রমিক কলোনীর মনু মিয়ার কন্যা মুন্নি, জিরাই গ্রামের আব্দুল মজিদের কন্যা জান্নাতি, গুমানীগঞ্জ ইউপির শাহ আলমের কন্যা নিশাত ও তালুককানুপুর ইউপির টিক্কা মিয়ার পুত্র হাবিব বলে জানা গেছে।

(এস/এসপি/জুলাই ২২, ২০১৯)