বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তাদের কাছে লিখিত আবেদনের ৩ বছর পরও বসত ঘরের মধ্যের বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়নি। ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ১৫ সদস্যর জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কয়েক দফা লিখিত আবেদন করে ১১ হাজার ২১ টাকা জমা দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। মঙ্গলবার দুপুরে এমনটা জানিয়েছেন চিতলমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ মুজিবর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা শেখ মুজিবর রহমান জানান, চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্নী গ্রামে তার দ্বিতল ভবন রয়েছে। ওই ভবনের মধ্যে বিদ্যুতের একটি খুঁটি পড়েছে। সেই খুটি দিয়ে আশেপারে কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তার পরিবারে ৫টি শিশুসহ ১৫ জন সদস্য রয়েছে। ছাদে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ার কারণে পরিবারের ১৫ সদস্যর জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ ঘটনায় তিনি ৩ বছর আগে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একটি লিখিত আবেদন করে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুতের খুটি সরাতে রশিদের মাধ্যমে ১১ হাজার ২১ টাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জমা দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগেও তিনি বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে পুনরায় লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু অদ্যবধি কোন প্রতিকার পাননি।

চিতলমারী পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজিএম মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আবেদনটি জমা হওয়ার পর বাগেরহাটে পাঠানো হয়েছে। বৈদ্যতিক খুঁটি সরানোর বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।

তবে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন জানান, একজন ডিজাইন স্টেকারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার চেষ্ঠা চলছে।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ২৩, ২০১৯)