সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : সাজাপ্রাপ্ত মেহিদি হাসান সোহেল নামের এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ফলে এস.আই ও এ.এস.আই সহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামে। পুলিশের চাকুরি দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষাধিক টাকার একটি চেক জালিয়াতির মামলায় ৮ মাস সাজাপ্রাপ্ত হয় ওই গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে মেহেদি হাসান সোহেলের। সোহেল পুলিশের চাকুরি করত। তাড়াইল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য রহিছ উদ্দিনের কাছ থেকে পুলিশে চাকুরি দেয়ার কথা বলে, প্রায় তিন বছর আগে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মেহেদি হাসান সোহেল।

চাকুরি না হওয়ায় ওই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিলে মেহেদি হাসান সোহেল সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখায় একটি ভূয়া চেক দেয়। ওই চেক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা রহিছ উদ্দিন আড়াই বছর আগে ব্যাংকে গেলে একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় চেকটি ফেরত দেয়া হয়। পরে তিনি আদালতে মেহেদি হাসান সোহেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মেহেদি হাসানকে ৮ মাসের দন্ড প্রদান করেন। আদলত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে মঙ্গলবার কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই হারুন-অর রশিদ, এ.এস.আই কাজল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোহলকে গ্রেফতার করে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, গ্রেফতারের পর সোহেলকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই রাসেল, সোহেল সহ অন্যান্যরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করলে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। এসময় পুলিশ সোহেলের ভাই রাসেলকেউ আটক করে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে দিক নির্দেশনা পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২৩, ২০১৯)