নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় এক গৃহকর্মীকে (৩০) বিয়ের মিথ্যে প্রলোভনে ধর্ষণ ও কৌশলে ঔষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে । 

বুধবার(২৪ জুলাই) রাতে ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী নিজে বাদী হয়ে ওই ধর্ষক গৃহকর্তা আরমান ভান্ডারীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। সৈয়দপুর থানা পুলিশ বুধবার রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আরমান (৩৬) শহরের বাঁশবাড়ী হানিফ মোড় এলাকার সাগিরের ছেলে। বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই)দুপুরে ধর্ষক আরমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ৬/৭ মাস ধরে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিল ওই নারী। এরপর ওই নারী শহরের বাঁশবাড়ী হানিফ মোড় এলাকার আরমান ভান্ডারীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে গৃহকর্তা আরমান ভান্ডারী গৃহকর্মীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন। ঘটনা ফাস না করার জন্য এক পর্যায়ে আরমান ভান্ডারী গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রাখে। এরপর একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। সর্বশেষ ১৪ মে আরমান ভান্ডারী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে।

এ অবস্থায় গৃহকর্মী গর্ভবর্তী হয়ে উঠে। এ অবস্থায় বিয়ের চাপ দিলে গৃহকর্মীকে ২২ জুলাই দুপুরে কৌশলে গর্ভপাত ঘটাতে ঔষধ সেবন করানো হলে ওই দিন বিকেলে সৈয়দপুর রেলওয়ের আইডব্লিউ অফিসের পেছনে অবস্থানকালে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথায় সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে খবর পেয়ে খানা পুলিশ গৃহকর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তাঁর অবস্থান অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে ওই গৃহকর্মী উক্ত মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক গৃহকর্তা আরমান ভান্ডারীকে মামলা দায়েরের রাতেই গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়।

(এস/এসপি/জুলাই ২৬, ২০১৯)