নিউজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম টুইটারের ব্যবহার কখনও নেতিবাচক হতে পারে। বেশি বেশি টুইটার ব্যবহার করলে তা দাম্পত্য কিংবা রোমান্টিক সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন আভাসই পাওয়া গেছে৷ আগে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এমন ফল পাওয়া যায়।

গবেষণার এমন ফলাফলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, সামগ্রিকভাবে সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার দাম্পত্য জীবনের জন্য ক্ষতিকর কিনা- এই নিয়ে।

সাইবারসাইকোলজি, বিহেভিয়ার, এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, টুইটার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অনেক সময় একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে থাকা জুটি৷ বেশি টুইটার ব্যবহারের কারণে এমনটা হয়৷ আর এই বিরোধ থেকে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া বা ডিভোর্সের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে৷

গবেষণাপত্রের লেখক রাসেল ক্লেটন মনে করেন, তাঁর গবেষণায় রোমান্টিক সম্পর্কের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কুপ্রভাব ফুটে উঠেছে। গত বছর একই জার্নালে প্রকাশিত তাঁর আরেক গবেষণা পত্র থেকে দাম্পত্য জীবনের উপর ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাবের কথা জানা যায়।

জার্নালের প্রধান সম্পাদক ব্রেন্ডা ভিডারহোল্ড এই বিষয়ে বলেন, এ সব তথ্য-উপাত্ত থেকে এটাই বোঝা যায় যে, সামাজিক নেটওয়ার্কের সঠিক ব্যবহার নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন। সিম্বলবিল্ড হার্টব্রিট প্রশ্ন উঠেছে, সামগ্রিকভাবে সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার দাম্পত্য জীবনের জন্য ক্ষতিকর কিনা?

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে অধিকাংশ গবেষণাই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ ফলে আমরা এখনো জানি না যে, ইন্সটাগ্রামের মতো অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমও সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা।

সর্বশেষ গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত সমীক্ষায় ৫৮১ জন টুইটার ব্যবহারকারী অংশ নেন৷ তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা দিনে কতবার টুইটার ব্যবহার করেন এবং এর ফলে তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে কিনা।

ক্লেটন খুঁজে পেয়েছেন যে, যাঁদের মধ্যে টুইটার ব্যবহারের প্রবণতা বেশি, তাঁদের দাম্পত্য জীবনে এ সংক্রান্ত বিরোধও বেশি। কার্যত ফেসবুক সংক্রান্ত তাঁর গবেষণার ফলাফলের সঙ্গে এই গবেষণার মিল অনেক৷ আর এই দুই গবেষণার আলোকে বলা যায়, দাম্পত্য জীবনে ফেসবুক এবং টুইটার - উভয়েরই নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ৩০, ২০১৪)