জামালপুর প্রতিনিধি : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২ রোগী। এদের মধ্যে ২ জনের একজনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং আরেকজনকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ১ রোগী সন্দেহের মধ্যে রয়েছে, রিপোর্ট এলেই তাকে শনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আলিফ (২৮), দিগপাইত গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২০), হামিদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে তালাত (২২), শহরের বানিয়াবাজার এলাকার আমিনুরের ছেলে সানোয়ার হোসেন (২৫), দেউরপাড় চন্দ্রা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (২৫), মানিকের চর গ্রামের উমর আলীর ছেলে সোহেল (২০), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমারপাড়া গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে সাব্বির (২২), ইসলামপুর উপজেলার গঙ্গাপাড়া গ্রামের আতাব আলীর ছেলে রাসেল (২৫) ও মেলান্দহ উপজেলার ইমামপুর গ্রামের সামিদুল হকের ছেলে ফিয়াস মাহমুদ (২০)। ডেঙ্গুজ¦রের সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন জামালপুর সদর উপজেলার চর যথার্থপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে সাদ্দাম (২৩)। প্রয়োজনীয় রিপোর্ট হাতে এলেই তাকে শনাক্ত করা যাবে।

এসব রোগীদের মধ্যে কেন্দুয়া খামারপাড়া গ্রামের আবুল হোসের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) গত ২৫ জুলাই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এছাড়া পৌরসভার হাটচন্দ্রা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে কবির হোসেনকে (২৫) আজ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। প্রায় সময়েই ডাক্তার থাকে না।

ভর্তি রোগী আলিফের চাচাতো ভাই মো. জুলহাস মিয়া (২৫) জানান, আমার রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও ডাক্তারের খোঁজ পাচ্ছিনা। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে উপরতলা নিচতলা ঘুরে মরছি, কোথাও কেউ নেই। ডাক্তারদের অবহেলায় কি আমার ভাই মারা যাবে?

রোগীর স্বজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোস্টার দেখে ডাক্তারের খোঁজ নেওয়া হলে দেখা যায় রোস্টারে ডাক্তারদের নামের পাশে তাঁদের মোবাইল নম্বর নেই। নার্সরাও জানে না ডাক্তারদের মোবাইল নম্বর। ঘন্টা দুই পরে রহিমা আক্তার নামে একজন ডাক্তার এলেন। তবে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হন নি।

(আরআর/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৯)