মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ডেঙ্গু রোগ শনাক্তে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালকে ২৫টি রেপিড টেস্ট ডিভাইস হস্তান্তর করা হয়েছে। 

রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: পার্থ সারতী পাল কাননগো’র কক্ষে সিভিল সার্জন ডা: শাহজাহান কবির চৌধুরীর হাতে এসব বিশেষ ডিভাইস আনুষ্ঠানিক হস্তান্ত করেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ডা: সাব্বির হোসেন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ ডিভাইস রেপিড টেস্ট গুলো সংগ্রহ করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডা: আব্দুল্লাহ আল বাকী, মৌলভীবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফয়সল আহমদ, ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদসহ হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

ডিভাইসগুলো হস্তান্তর শেষে সিভিল সার্জন ডা: শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন , এখন থেকে শুধুমাত্র সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালেই ডেঙ্গু আক্রান্তদের এই ডিভাইসের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় মৌলভীবাজারে এ-পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বমোট ১১ জন রোগী। এদের মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধিন আছেন মোট দুইজন । অন্য দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এরা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ।

জানা যায়, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকৎিসার জন্য সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চতুর্থতলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে ফিরেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্থে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিদিনই বাড়ছে। এডিস মশার বিস্তার ঘটার কারণে এমনটি হচ্ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে বলে বিভিন্নস্থানে পানি জমছে। সেখানে এডিস মশা ডিম দিচ্ছে। মশার বংশবৃদ্ধি বেশি বেশি হচ্ছে। মশার সংখ্যা বাড়ার কারণে সেসব মশা কামড়াচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

(একে/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৯)