আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই যুবক মারা গেছেন। তারা হলেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নাসির খানের পুত্র আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার গোসনতারা গ্রামের আদম আলীর পুত্র সোহেল (১৯)।

মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আসলাম খান সোমবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের তিন নম্বর ইউনিটে ভর্তি হন এবং মঙ্গলবার ভোররাত সোয়া তিনটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে সোহেল সোমবার দিবাগত রাতে শেবাচিম হাসপাতালের ভর্তি হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে চারটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি আরও জানান, উভয়রোগী ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে শেবাচিমে ভর্তি হয়েছিলেন।

সূত্রমতে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ২৪ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

অপরদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগীর স্থান হচ্ছে মেঝেতে বা বারান্দায়। বাড়তি রোগীর চাপে ওয়ার্ডগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও হিমশিমখাচ্ছে কর্মীরা। এদিকে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার জন্য সরকার সর্বোচ্চ পাঁচশ’ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিলেও বাহিরের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা। আসন্ন ঈদ-উল আযহায় রাজধানী থেকে মানুষের গ্রামে ফেরার সাথে সাথে ডেঙ্গু জ্বর বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আশংকা করেন হাসপাতালের পরিচালক।

(টিবি/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৯)