রূপক মুখার্জি, নড়াইল : পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-যশোর রেল লাইনের নড়াইল ও লোহাগড়া অংশের কাজ শুরু হয়েছে। গত এপ্রিল মাস থেকে নড়াইল ও লোহাগড়া অংশে কাজ শুরু হলেও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা এখনও টাকা পাই নাই। আদৌও জমির মালিকরা টাকা পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে। দুশ্চিন্তা তাদের গ্রাস করেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রেল লাইন। দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল এবং বানিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্প শহর খুলনা সহ দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে গুরুত্বপুর্ণ এই রেল লাইন। এই রেল লাইনের আওতায় মোট রেল ষ্টেশন থাকবে ২০টি। এর ১৪টি নতুন নির্মাণ করতে হবে। ৯টি জেলার উপর দিয়ে এই রেল লাইন যাবে।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেষপুুর, কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল ও জামদিয়া হয়ে যশোরের রুপদিয়া রেল ষ্টেশনের সাথে মিলিত হবে এই রেল লাইনটি। এর মধ্যে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী ও যশোরের পদ্মবিলায় রেলওয়ে জংশন নির্মিত হবে। নড়াইলের লোহাগড়া এলাকা নারানদিয়ায় ও নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরে রেল ষ্টেশন নির্মিত হবে। ঢাকা থেকে লোহাগড়া ষ্টেশনের দুরত্ব ১২৩ ও নড়াইল রেল ষ্টেশনের দুরত্ব ১৩৮ কিলোমিটার। চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লি:’ এই রেলের নির্মান কাজ করছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

এড়েন্দা গ্রামের মধুসুদন শীল, বসুপটি গ্রামের রমেশ দাস ও সারুলিয়া গ্রামের জাফর শেখ সহ বেশ কয়েকজন জমির মালিক বলেন, লোহাগড়া উপজেলায় ফসলী জমিতে রেল লাইন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। সরকার তাদের জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু এখনও টাকা দেওয়া হয়নি। স্থানীয় ভাবে রটেছে, সরকার জমি নিয়ে নিয়েছে। রেল লাইন নির্মানের কাজও শুরু হয়ে গেছে। জমির মালিকেরা টাকা পাবেন না।

অধিগ্রহণ ও টাকা বিতরনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজি মাহাবুবুর রশিদ বলেন, প্রকৃত জমির মালিকেরা যাতে সঠিক ভাবে টাকা পান, সে জন্য অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। বর্তমানে জমির মালিকদের সাত ধারার শুনানী শেষ হয়েছে। আট ধারায় জমির মালিকদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এ সব কাজ শেষে অর্থাৎ ঈদের পরে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকেরা টাকা পাবে বলে তিনি জানান।

(আরএম/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৯)