নড়াইল প্রতিনিধি : নড়ালের লোহাগড়া পৌর সভার জয়পুর গ্রামে সাংসারিক কলহের জের ও অব্যহত নিযার্তনের কারণে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযাগে বুধবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর সভার জয়পুর গ্রামের মনিন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুখ বিশ্বাস (৩৯)’র সাথে নয় বছর পূর্বে যশোর জেলার সদর উপজেলার বাগদিয়া গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের মেয়ে শান্তনা বিশ্বাস (৩০)’র মধ্যে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। বিয়ের পর তাদের ঘরে অনিদ্র (৭) নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু বিধি বাম ! শান্তনার কপালে সুখ সইলো না। স্বামী সুখসহ তার পরিবারের সদস্যরা দিনের পর দিন শান্তরার ওপর শারিরীক ও মানসিক নিযার্তন করে আসছিল।

এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠক করেও শান্তনার ওপর নির্মম নিযার্তন বন্ধ হয়নি। অব্যহত নিযার্তনের এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শান্তনা বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। মুমূর্ষ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ সময় শান্তনার স্বামীসহ স্বজনরা লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপন ঘোষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এসআই জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে পৌছায় এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার শিকার শান্তনার ভাই অশোক বিশ্বাস বাদী হয়ে স্বামী সুখ বিশ্বাসসহ আরও ৪/৫জনকে আসামী করে বাঃ দঃ বিধির ৩০৬ ধারায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার এসআই জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে এবং আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরএম/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৯)