কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় হামলার শিকার এক আওয়ামী লীগ নেতার মামলা নিচ্ছে না কাপাসিয়া থানা পুলিশ। গাজীপুরের এসপির কাছে ভুক্তভুগি আবেদন করার পর এসপি কাপাসিয়া থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেযার নির্দেশ দিলে ও ওসি সেই নির্দেশ মানে নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী মো. শহিদুল্লাহ উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

জানা যায়, ইকুরিয়া এলাকার শহিদুল্লার পরিবারের জমি প্রতিবেশী আসকর আলীর দখলের পাঁয়তারা করছে বলে বলে অভিযোগ। ওই পক্ষ উপজেলা ভূমি অফিসের রায়ও মানছেন না। প্রতিপক্ষ আসকর আলীর লোকজন সম্প্রতি জমি থেকে জোর করে শহিদুল্লার জমি থেকে মাটি কেটে নিলে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। পরদিন এসআই মেহেদী হাসান তদন্তে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাদির মিয়ার ছেলে শাহীনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে শহিদুল্লাহকে মারধোর করে জখম করা হয়। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আসকর আলীর স্ত্রী নূর বেগম, ছাদির মিয়া, তার স্ত্রী হামিদা বেগম, আবুল হাসেম ওরফে কালা চাঁন, তার স্ত্রী হাকিয়া বেগম ও ছেলে রফিকুল ইসলাম এদের বিরুদ্ধে শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করতে গেলে ওসি অভিযোগ নেননি বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।

শহিদুল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নামে খারিজ ও এসিল্যান্ডের রায় আছে। এরপরও পুলিশ আপোসের কথা বলে বারবার তারিখ দিয়ে হয়রানি করছে।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবাকে রক্তাক্ত করা হলেও ওসি মামলা নিচ্ছেন না। পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিজে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও কোন কাজ হয়নি। উল্লেখ্য থাকে কাপাসিয়া থানার ওসি যোগদানের পর থেকে এলাকার জমিজমা বিরোধ নিয়ে প্রতিদিনই থানায় সালিসী বৈঠক বসে। আপোস মিমাংসার নামে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয় বলেও ভুক্তভুগরা জানান।

এ ব্যাপারে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করে একটা সমাধানে গেলেও শহিদুল্লার মানেননি। তাই আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

(এসকেডি/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০১৯)