মাদারীপুর প্রতিনিধি : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে নাদিরা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছে। এ নিয়ে গত চার দিনে জেলার ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাদিরা কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের আলমগীর মোড়লের স্ত্রী। 

এদিকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে অর্ধশত। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ৯, কালকিনিতে ৪, রাজৈরে ২ এবং শিবচরে ২ জনসহ ১৭জন ভর্তি আছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শারমিন আক্তার (২২) নামের এক তরুণী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শারমিন রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের রুবেল মিয়ার মেয়ে।

অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় ফারুক খান (২২) নামের এক যুবক ঢাকায় ইসলামিয়া হাসপাতালে মারা যান। ফারুক শিবচর উপজেলার পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার সলু বেপারীকান্দি গ্রামের বাবু খানের ছেলে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মারা গেছেন জুলহাস বেপারী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। সে কালকিনি উপজেলার পৌরসভার ঠেঙ্গামারা গ্রামের বারেক বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে গত চারদিনে মাদারীপুর জেলার ৪ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার পর্যন্ত জেলার ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার রাতে নাদিরা বেগম নামের যে গৃহবধূ মারা গেছেন, সে এক সপ্তাহ আগে ঢাকার মিরপুরে তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে মঙ্গলবার কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, মাদারীপুরে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী ঢাকা বা অন্য জায়গা থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে এনেছে। ২০ জন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণে সরকারীভাবে ১২০টি কিট আছে। এর মধ্যে ৬০টি রাখা হয়েছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে। বাকিগুলো অন্যান্য সরকারী হাসপাতালে দেয়া হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’

(এএস/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০১৯)