লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় এক সন্তানের জননীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১১ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপির লংকারচর গ্রামের তারা মিয়া শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখের সাথে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে বৃষ্টি খানমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম যৌতুকের জন্য স্ত্রী বৃষ্টিকে বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।

এর জের ধরে বুধবার সকালে স্বামী ইব্রাহিম শেখ, তার ভাই রুহুল আমিন বৃষ্টিকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে অজ্ঞান করে ফেলে। এর পর রুহুল আমিন বৃষ্টির মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে বৃষ্টি আত্বহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। গ্রামবাসী মুমূর্ষ অবস্থায় বৃষ্টিকে প্রথমে লোহাগড়ার একটি ক্লিনিকে এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের মা মিতা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর যৌতুক বাবদ জামাই ইব্রাহিমকে কয়েক দফায় তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের কানের নিচে এবং পায়ে হালকা আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

(অারএম/এটিআর/জুলাই ৩১, ২০১৪)