জামালপুর প্রতিনিধি : ভ্রাম্যমাণ আদালতের শুদ্ধি অভিযানে অমানবিক ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানার প্রতিবাদে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করেছে জামালপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সকল ওষুদ ফার্মেসী বন্ধ রেখে এই ধর্মঘট পালন করে জেলা ক্যামিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি। ধর্মঘট চলাকালে সকাল ১১টায় শহরের স্টেশন রোড এলাকায় এক মানববন্ধনে অংশ নেয় শহরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

কেমিস্টস ও ড্রাগিস্টস সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি আশরাফ সিদ্দিক মামীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মা মেডিকেল হলের ছামিউল ইসলাম, কুয়াশা মেডিকেল হলের ফিরোজ আহমেদ, আরমান ড্রাগ হাউজের সোহেল আহমেদ, আবিদ ফার্মেসীর ফজলুর রহমান মিঠু, আবীর ফার্মেসীর জুবায়ের হোসেন শাহিনসহ শহরের ওষুধ ফার্মেসীর মালিকরা।

বক্তারা বলেন, ১৭ শতাংশ ভ্যাট অগ্রিম দিয়ে ওষুধ কিনে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করি। ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়েও আমরা নিরাপদ নই। পদে পদে আমাদের জরিমানা করা হয়। কোন ওষুধ রাখা যাবে, কোনটা যাবে না এই বিষয়ে সরকার থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আমাদের দেওয়া হয় নাই। প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শুদ্ধিকরণের নামে অমানবিক ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা করা হচ্ছে। মুদি দোকানে, খোলা বাজারে যারা ভেজাল ও নকল ওষুধ বিক্রি করে তাদের দিকে নজর যায় না প্রশাসনের। আমাদের হাজার হাজার ওষুধের মধ্যে দু একটি ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ পেলেই জরিমানা করা হয়। এটা জরিমানা নয়, প্রশাসনের চাঁদাবাজি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই জরিমানা অব্যাহত থাকলে আমরা সকল ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেবার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

ধর্মঘট চলাকালে হাসপাতাল গেট এলাকা ও ক্লিনিক সংলগ্ন ওষুধের দোকান ছাড়া থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রায় ৪ হাজার ফার্মেসী বন্ধ ছিল।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ০৫, ২০১৯)