অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় একটি দোকান ঘরের পিছনে সাড়ে ৫শ বস্তা সরকারী চাল মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন সরকারি চাউল গুদামের বাইরে থাকার রহস্য কি?

সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের এ প্রতিনিধির কাছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রথেকে খবর আসে পাথরঘাটা পৌরশহরের নতুন বাজার ব্রীজ সংলগ্ন বাবুল বেকারীর পাশে মোস্তফা বিশ্বাসের ঘরে শত শত সরকারি চাউলের বস্তা মজুদ রয়েছে।

তাৎক্ষনিক ওই মোস্তফার দোকানে বেশ ক'জন সংবাদ কর্মি ছুটে যায়। সংবাদের সত্যতা পেয়ে সাংবাদিকরা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। কিন্তু নিরব অবস্থানে থাকেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তা।তিনি সরাসরি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার সাথে কথা বলেতে নির্দেশনা দেন।

ঘটনার সময় ওই দোকানের সামনে ট্রাকেও বোঝাই করা ছিলো এই সরকারি চাউল। দোকানের পিছনের গোডাউনে কয়েকশ বস্তা চাল এবং নতুন মোড়কের প্যাকেটে দেখতে পান সাংবাদিকরা। পরে ওই দোকানের লোকজনের তোপের মুখে পরেন উপস্থিত সাংবাদকর্মিরা। এসময় উপজেলা ঘটনায় জড়িতরা অসৎ উপায়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা চালায়।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, লঞ্চঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে মোস্তফা বিশ্বাসের ওই দোকানে প্রায়-ই খাদ্য গুদামের চালের বস্তা খুলে নতুন প্যাকেট জাত করা হয়। যা সহজেই বাজার জাত করা যায়। ঘটনার সময় দোকান মালিক মোস্তফা বিশ্বাসের শ্যালোক সাংবাদিকদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করারও চেস্টা করেন।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, এই চালগুলো ডিলারের কাছ থেকে যে কোন ব্যাবসায়ী কিনতে পারে, আপনারা খাদ্য গুনামের লোকজনের সাথে কথা বলেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, এইঘরে বিভিন্ন সময় পাথরঘাটা খাদ্য গুদাম থেকে চাউল এনে সরকারি বস্তা বদল করা হয়। তারা রাতের বেলায়ও এখানে চাউল আনতে দেখেছেন বহুবার।

অভিযোগ আছে, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার সাথে কালমেঘা ডিলার বাড়ির ইয়াকুব আলীর ছেলে সিদ্দিক, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আলম খানের ছেলে রিপন ও সদর ইউনিয়নের ছালামের ছেলে শাহআলম সহ স্থানীয় কিছু লোকের যোগসাজসে এই দুর্নীতি দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তারা।

দোকান মালিকের পক্ষে তার শ্যালোক সিদ্দিক, রিপন খাঁন বলেন, ওই চালগুলো সিপিসি ও কাজের বিনিময়ে খাদ্যর (কাবিখা) চাল। আমরা এই চালগুলো কিনে রেখেছি। আমাদের কাছে ক্রয় করার সকল কাগজপত্র আছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এবিষয়ে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার সাথে বললেই সব পেয়ে যাবেন।

(এটি/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০১৯)