উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৭নং সেক্টরের গেরিলা প্রধান আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল বগুড়া জেলার সাবগ্রামে হানাদারদের একটি মিলিটারী লরী এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে লরীটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ৩ জন পাকসেনা নিহত ও একজন আহত হয়।

ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা জুয়েল, বদিউজ্জামান, আলম, পুলু, স্বপন ও সামাদ ফার্মগেটের মিলিটারী চেকপোস্টের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এ অভিযানে পাঁচজন মিলিটারী পুলিশ ও তাদের সহযোগী ছয়জন রাজাকার নিহত হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে পাকিস্তান কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ সংক্রান্ত শ্বেতপত্রের বিবরণ মিথ্যার বেসাতি বলে মন্তব্য করা হয়।

ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দলত্যাগী সৈনিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় প্রকাশ্য আক্রমণ শুরু করেছে।
পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম কুষ্টিয়ায় শান্তি কমিটির এক সভায় বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সাথে মৈত্রী স্থাপন করে জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও তার ভারতপন্থী আওয়ামী লীগ সদস্যদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বীর জওয়ানরা যথা সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকতো না। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্ম্পকে সতর্ক থাকার এবং রাষ্ট্রবিরোধীদের দমনে শান্তি কমিটি, রাজাকার মুজাহিদ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগীতা করার জন্য জামায়াত কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

নেত্রকোনায় বাংলা প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে শান্তি কমিটির নেতা ফারুক আহমদ এক সভায় বলেন, পাকিস্তান টিকে না থাকলে মুসলমানদের ধর্ম, কৃষ্টি, তাহজীব-তমদ্দুন, ইজ্জত কিছুই রক্ষা হবে না। ২৪ বছর পূর্বে এ দেশের মুসলমানরা যেমন অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলো, ঠিক তেমনি অধিকারহীন হয়ে হিন্দুদের গোলামে পরিণত হবে। আর এ জন্যেই শেখ মুজিব ও তার বাহিনী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৯)