স্টাফ রিপোর্টার : ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে ‘কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাথে দিক নির্দেশনামূলক সভায়’ উপস্থিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তিনি এ নির্দেশ দেন।

সভায় ডিএসসিসির সব ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পরিবহন চালকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘গত বছরের ঈদে আমরা ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছিলাম। এবার কি পারব? সবাই হাত তুলেন।’ এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাত তুললে তিনি তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেন।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উদ্দেশে সাঈদ খোকন আরও বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। ঈদের পরদিন ও তৃতীয় দিন কিছু সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। আপনাদের (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) সম্মতি নিয়ে ও আল্লাহ ওপর ভরসা রেখে আমি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, গত বছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব।

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫টি পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমাম সাহেবসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। আপনারা অনুগ্রহ করে সেখানে পশু কোরবানি করবেন। যদি সেখানে কোনো কারণে পশু কোরবানি দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে যেখানেই কোরবানি করবেন সেখানে পানি কিংবা রক্ত জমতে দেবেন না। পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে সেখানে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বড় ব্যাগ দেয়া হবে। সেই ব্যাগে বর্জ্য ঢুকিয়ে নির্ধারিত স্থানে রাখবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে তিনি হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন দেবেন। হটলাইনে অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে তদারকি করা হবে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০১৯)