স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শ্যামপুরে শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মা হত্যা মামলায় মফিজ উদ্দিন সরকার ওরফে মফিজ ও আবু জাহের ওরফে জাহের খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া আবুল হোসেন নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালতের পেশকার মোহাম্মদ ফুরকান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাভোগের নির্দেশ দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মফিজ উদ্দিন সরকার ওরফে মফিজ চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ও আবু জাহের ওরফে জাহের খান রংপুরের কাউনিয়া থানার মৃত আবুলের ছেলে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম ওরফে হাফিজ কুয়েত থাকাকালে শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে হয়। এরপর থেকে সুহারা উম্মা তার ছেলে শাকিলকে নিয়ে শ্যামপুরের জিয়া স্মরণী গ্যাস রোডে বসবাস করতেন। ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুহারা উম্মার বাসায় তাদের ভাড়াটিয়া আবুল হোসেনের ভায়রা মফিজ ও তার এক বন্ধু যায়। পরে সুহারা উম্মাকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় তার দেবর আব্বাস আলী ২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্যামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আর ফজুলল হক সরকার ওরফে হান্নান নামে এক আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটি বিচার চলাকালে ২২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০১৯)