কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১১ বছরের কিশোরীকে মুখ চেপে জঙ্গলে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষক শাহীন সরদার (২৫)কে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ কারনে উদ্বিগ্ন ও আতংকিত কিশোরীর পরিবার এ বর্বর ঘটনার বিচার অদৌ পাবেন কীনা তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করছে।

উপজেলার মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের চড়পাড়া খালের বনাঞ্চলের মধ্য নিয়ে গত ২৬ জুন কিশোরীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন।

এ ঘটনায় ২৯ জুন রাতে কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে মহিপুর থানায় শাহীনকে প্রধান আসামী করে নারী ও নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩। তবে মহিপুর থানা পুলিশ জানায়, আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন বিকালে তেগাছিয়া বাজার থেকে মোবাইল ঠিক করে বাসায় ফেরার পথে চড়পাড়া আবাসন খালের উত্তর পাশে খালের পাড়ে পৌছলে কিশোরীকে মুখ চেপে পাশ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে জোড়করে ধর্ষণ করে শাহীন। এ সময় কিশোরীর ডাকচিৎকারে পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ফলে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে ওই রাতে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কিশোরীর স্বজনরা জানায়, এ ঘটনার পর থেকে মানুষজন দেখলেই আৎকে উঠছে কিশোরী। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকটা ঘরকোনা তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু আসামী ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। শাহীনের এক আত্মীয় ইউপি সদস্য হওয়ায় ভয়ে আছেন তারা। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে এ কিশোরী তার ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিশোরীর বাবা দরিদ্র হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, তারা ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর ডাক্তারী রিপোর্ট এখনও পাননি। মামলার একমাত্র আসামীকে ধরতে ঘটনার পর থেকেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(এমকেআর/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৯)